এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ আগাম নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করে দিয়েছে সমুদয়কাঠীর ইউনিয়নের মধ্যে। ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ইউপি সদস্যদের তালিকা তৈরি করে চায়ের দোকান সহ পাড়া মহল্লার মধ্যে বেশ আলোচনা জমে উঠেছে। যদিও রাজনীতির মেরুকরণে নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের গুরুত্ব বহন করে আসছে বিগত সময় থেকেই।সমুদয়কাঠীর রাজনীতির আলোচনা মানেই সেহাঙ্গল সহ সাগরকান্দা, জুলুহার, মৈশানীর গ্রাম্য পলিটিক্স। ইউনিয়ন পর্যায়ে সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটা আলাদা ভাবসাব রয়েছে সর্বত্র । অবশ্য এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনা ও সমালোচনার মাত্রা একটু বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। নাম না প্রকাশের শর্তে বেশির ভাগ ইউনিয়ন বাসীরা জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সবুর তালুকদার বিগত সময় থেকেই কমবেশি বিতর্ক আছে। সরাসরি লিখিত অভিযোগ না করলেও মনে মনে বর্তমান চেয়ারম্যানের বিকল্প প্রার্থীর খুজতেছে। বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরাসরি সাগরকান্দা, মৈশানি এলাকায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ সেহাঙ্গল,দূর্ঘাকাঠী, কুহুদাশকাঠীতে রয়েছে বহু সম্ভাব্য প্রার্থীর ছড়াছড়ি। প্রায় হাফ ডজন প্রার্থীর মধ্যে একটু ব্যাতিক্রমী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর আর্বিভাবই বলে দেয় কে সেই সম্ভাবনাময় প্রার্থী। এলাকায় সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সকলের কাছে দারুণ গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আর হ্যা আমরা প্রিয় পাঠকের সন্মানে বলছিলাম বাবু বিধান চন্দ্র রায়ের কথা। সদা হাস্যউজ্জল ও মার্জিত স্বভাবের অধিকারী বিধান রায় সত্যি সত্যিই সকলের কাছে দারুণ প্রশংসনীয় হয়েছে। অবশ্য রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সেবায়ও অগ্রনী ভূমিকা পালন করে সকলের আলোচনায় রয়েছে বিধান রায়। দলমত নির্বিশেষে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে বার বার একটি নাম বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সবুর তালুকদার সহ সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে মোঃ হুমায়ুন বেপারি, এ্যাড নিখিল মন্ডল, এ্যাড প্রিয়তোশ সাদক, মোঃ জসিম তালুকদার, মোঃ জাকির হোসেন তালুকদার প্রমুখরা রয়েছে আগামীর তালিকায়। অবশ্য সৌভাগ্যবান কে সেই ব্যাক্তি যে পাবে নৌকার টিকেট। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন বাসীরা জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমাদের সমুদয়কাঠীর চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তালিকায় বহু বাঘা বাঘা প্রার্থীর রয়েছে। তবে সার্বিক বিবেচনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য অন্যতম যোগ্য প্রার্থী বাবু বিধান রায়।তবে ভিন্ন কথা বলেন এলাকার সুশীল সমাজের বেশ কিছু লোকজন। তাদের ভাষ্য, আমাদের এলাকায় বর্তমানে প্রায় ১১০০০ ভোটার।মুসলিম ভোটার হল প্রায় ৫০০০ এবং হিন্দু ভোটার হল প্রায় ৬০০০। সেই বিবেচনায় ভোট যুদ্ব হবে কঠিন থেকে কঠিনতর। অবশ্য সার্বিক বিবেচনায় নৌকার টিকেট পাওয়া যদিও আর্শীবাদ তবে জনপ্রিয়তায় সকলের কাছে দারুণ গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে বাবু বিধান রায়ের।এদিকে এলাকার স্বার্থে বেশ কিছু ভোটারা জানান, সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বিধান রায় আমাদের ইউনিয়নের গর্ব। তার মত যোগ্য প্রার্থী দরকার আগামীর জন্য।
এ ব্যাপারে কথা হয় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু বিধান রায়ের সাথে। তিনি জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমি বরাবরই মানবতার সেবায় নিয়োজিত। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি ইউনিয়ন বাসীর জন্য খেদমত করে যাবো মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে বিধান রায় জানান, আমি জনগণের আর্শীবাদ নিয়ে নৌকার টিকেট পাওয়ার ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত। তাছাড়া শান্তিপ্রিয় মাননীয় মন্ত্রী এ্যাড. শ ম রেজাউল করিমের আর্শীবাদ নিয়ে আমি কৌশল অবলম্বন করে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমার ইউনিয়নকে একটা রোল মডেল হিসাবে গড়ে তুলবো সকলের আর্শীবাদ নিয়ে।
Leave a Reply